কবিতা- ইওসটেটিয়া ওমনিবাস

ইওসটেটিয়া ওমনিবাস
– ঋজু

 

যাকে ধরলো না মনে
রটিয়ে দাও তার মুখে মিথ্যেবাদী কটুকথা।
দেখবে তার সে মিথ্যেবাদী শিল্প
হিপোক্রেসির তলায় জেহাদ হয়ে তোমার রাজধানী অবরোধ করেছে।

ক্রুশবিদ্ধ করো সে জেহাদীদের;
পিষে নিংড়ে ফ্যালো তাদের pair of anguish এর দাঁতে।
গড়ো নিজের খাঁকি পোষাকী নেকড়ে বাহিনী;

জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দাও ফুটপাতজোড়া ফসল।
দেখবে তোমার খাঁকি বাহিনী, পোড়া-রুটির মতো মুখওয়ালা মৃত কৃষকদের মিছিলের নেতৃত্বে তোমার রাজপথ ঢেকে ফেলেছে।

ওরা ক্ষুধার্ত; বুভুক্ষু।
নাট্যাভিনয়ের দিব্যি কেটে এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল খোলো;আর…
রূপকথায় মোড়া কন্ডোম বেচে হিপনোটাইজ করে রাখো ওদের।
ওরা যেন কোনোদিন জানতে না পারে ওরা কি চেয়েছে;

এমনই দুর্ভিক্ষ সাজাও খবরে -কাগজে,টিভিতে মগজে।
টাকা কামাও আরো , সেই টাকায় গড়ে তোলো ভিক্টোরিয়া;

নিউইয়র্ক; টাইম মেশিন।হয়ে গেলে শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দিও।
তারপর সেই টাইম মেশিনে চেপে তুলে আনো রানী মেরি আঁতিনয়েদ ও জার দ্বিতীয় নিকোলাস কে; সংসদ গঠন করো , আইনগ্রন্থে লিখে দাও:-
“ধর্ষিতা ও ধর্ষক এর অস্তিত্ব সমাজে স্বীকৃত;
“ধর্ষিকা” বলে কোনো শব্দের অস্তিত্ব নেই,বা থাকা উচিত নয়।
তাই আইনব্যবস্থা নারীর অসহায়তায় হস্তমৈথুন করবে-
নচেৎ আইনকে ফাঁসি দেওয়া হবে।”
ছোটোবেলার প্লেগ্রাউন্ড থেকে তুলে আনো ছোট ছোট আদম-ইভদের।
ওদের মগজধোলাই করো; স্পষ্ট বুঝিয়ে দাও- একজন মেয়ে, অন্যজন ছেলে।
ওরা মানুষ নয়; কেবলি মেয়ে ও ছেলে।
দু’জনকে দাও পৃথক পৃথক স্বর্গ ও পাতালে দাসত্ব।

দেখবে সহস্র কোটি সীতারা তোমার বাতানুকূল ঘরের ঝাঁ চকচকে মেঝে ফুঁড়ে উঠেছে তোমার সামনে।
দেখবে শত-সহস্র ক্ষুধার্ত পোসাইডন রক্তসমুদ্র পাড়ে কাস্তে-হাতুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে-
তোমার অ্যাটলান্টিস এর সবকটা স্তম্ভ চূর্ণ-বিচূর্ণ করবে বলে,
দেখবে আঁধার থেকে শত-সহস্র প্রতিশোধিনী ধর্ষিতা, মেডুসা হয়ে ফুঁসছে; তোমার পোষা
ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদ করবে বলে।
তুমি তোষন চালাও; কারারূদ্ধ করো,
দেখবে কারাগার ইস্তফা দিয়েছে; তোমার বিরুদ্ধে মলোটভ বেঁধেছে।
তুমি তাদের মরতে ফেলে দাও নরকে-অনশনে; ফুটপাতে,
দেখবে ক্ষুধায় ছটফট করে ফুটপাত, গিলে খাচ্ছে একনায়কদের ক্যাসল।

তন্ত্র এবার সময় এসেছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে আয়নায় নগ্ন দাঁড়াও।
তন্ত্র এবার এসেছে সময়, স্রষ্টার কাছে মাথা নোয়াও।

Loading

Leave A Comment